কাশী শহরটি কাল ভৈরব, কাশির কোতওয়াল বা বারাণসীর পুলিশকর্মের জন্য বিখ্যাত। তাঁর উপস্থিতি ভয়কে উদ্রেক করে, আমাদের কিছু পুলিশ সদস্যের থেকে আলাদা নয়। তার একটি ঘন গোঁফ রয়েছে, একটি কুকুর চালায়, বাঘের ত্বকে নিজেকে জড়িয়ে রাখে, খুলির মালা পরিধান করে, একটি হাতে তরোয়াল রয়েছে এবং অন্য হাতে রয়েছে, কাটা মাথাটি একজন অপরাধী criminal
লোকেরা তাঁর মাজারে ঝাঁড করতে যায়: হেক্সের ঝাড়ু। হেক্স অর্থ যাদুবিদ্যা (যাদু-টোনা) এবং ম্যালিফিক গ্যাজেস (দ্রিশ্তি বা নাজার) এর মাধ্যমে কারও অরাকে বাধা দেওয়া। মন্দিরের চারপাশে দোকানগুলিতে কালো থ্রেড এবং লোহার ব্রেসলেট বিক্রি করা হয়, যা ভক্তকে কালের ভৈরব সুরক্ষা দেয়।
কাহিনিতে দেখা যায় যে শিব বিশ্ব সৃষ্টির পরে অহংকারকারী ব্রহ্মার শিরশ্ছেদ করতে ভৈরব রূপ নিয়েছিলেন took ব্রহ্মার শিবের তালুতে মাথা seুকে তিনি স্রষ্টাকে হত্যার কুখ্যাত ব্রহ্ম-হাতিয়ার দ্বারা ধাওয়া করা পৃথিবীকে বিচরণ করেছিলেন।
শিব অবশেষে কৈলাস থেকে দক্ষিণে গঙ্গা নদীর তীরে নেমে এসেছিলেন। নদী যখন উত্তর দিকে পরিণত হয়েছিল তখন একটি বিষয় এসেছিল came এই মুহুর্তে, তিনি নদীতে হাত ডুবিয়েছিলেন, এবং ব্রহ্মার খুলি পূর্বাবস্থায় পরিণত হয় এবং শিবকে ব্রহ্ম-হাতিয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এটি বিখ্যাত শহর অবিমুক্তের সাইট হয়ে ওঠে (এক জায়গা যেখানে একটি মুক্ত হয়) যা এখন কাশী নামে পরিচিত। কথিত আছে যে শহরটি শিবের ত্রিশূলের উপর দাঁড়িয়ে আছে। শিব এখানে অভিভাবক হিসাবে রয়েছেন, যারা শহরকে হুমকি দিয়েছিলেন, তাদের বাসিন্দাদের রক্ষা করেছিলেন তাদের সবাইকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
আটটি ভৈরব আট দিককে (চারটি কার্ডিনাল এবং চারটি অর্ডিনাল) রক্ষা করার ধারণাটি বিভিন্ন পুরাণে একটি সাধারণ বিষয়। দক্ষিণে, গ্রামে আটটি কোণে অনেক গ্রামে 8 টি বৈরাভারের মন্দির রয়েছে (ভৈরবের স্থানীয় নাম)। ভৈরবকে এভাবে অভিভাবক দেবতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
অনেক জৈন মন্দিরে ভৈরব তাঁর স্ত্রী, ভৈরবীর সাথে অভিভাবক দেবতা হিসাবে দাঁড়িয়ে আছেন। গুজরাট এবং রাজস্থানে, কালা-ভৈরব এবং গোরা-ভৈরব, কৃষ্ণবর্ণ এবং অভিভাবকরা, যারা দেবীর মন্দিরগুলির উপরে নজর রাখেন তাদের একজন শুনলেন। কালা-ভৈরব কাল নামে আরও বেশি পরিচিত, কাল (কাল) কাল ব্ল্যাক হোলকে বোঝায় যা কাল (কাল) যা সব কিছু খায়। কালের ভৈরব অ্যালকোহল এবং বন্য উগ্রতার সাথে জড়িত। বিপরীতে, গোরা ভৈরব বা বাটুক ভৈরভ (ছোট ভৈরব) এমন একটি শিশু হিসাবে কল্পনা করা হয়েছে যা দুধ পান করতে পছন্দ করে, সম্ভবত ভংয়ের সাথে জড়িত।
ভৈরব নামটি মূলত 'ভায়া' বা 'শব্দ' শব্দটিতে নির্মিত। ভৈরব ভয়কে সরিয়ে দেয় এবং ভয় কেড়ে নেয়। তিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে সমস্ত মানবিক দুর্বলতার মূলে রয়েছে ভয়। এটা অবৈধতার ভয় যা ব্রহ্মাকে তার সৃষ্টিতে আটকে রেখেছিল এবং অহঙ্কারী হয়ে পড়েছিল। ভয়ে আমরা কুকুরের মতো হাড় এবং তাদের অঞ্চলগুলিতে আটকে থাকার মতো আমাদের পরিচয়গুলিতে আটকে থাকি। এই বার্তাটিকে আরও জোরদার করার জন্য, ভৈরব একটি কুকুরের সাথে সম্পর্কিত, এটি সংযুক্তির প্রতীক, যখন কুকুরটি তার লেজটি ঝুলিয়ে দেয় যখন মাস্টার হেসে ওঠেন এবং কর্ণধার ভ্রূণ হয়। এটি সংযুক্তি, অতএব ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতা, যা আমাদের লোকেদের উপর হেক্সস ছুঁড়ে দেয় এবং লোকেদের দেওয়া xষধে ভোগে। ভৈরব সকলের হাত থেকে আমাদের মুক্তি দেয়।
ক্রেডিট: দেবদত্ত পট্টনায়েক (শিবের সাত রহস্য)
